খুলনার পাইকগাছা উপজেলার আমিরপুর নিন্মমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পঙ্কজ সানার বিরুদ্ধে অফিস সহকারী পদে চাকুরী দেয়ার নামে সনৎ সরকার নামে এক যুবকের কাছ থেকে ৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বেকার সনৎ গড়ইখালী ইউপির দক্ষিন আমিরপুরের মৃত: নিরঞ্জন সরকারের ছেলে। এ ঘটনা জানাজানির পর এলাকায় তোড়পাড় সৃষ্টি হয়েছে।

সনৎ সরকার ও তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন ১ বছর পুর্বে আমিরপুর নিন্মমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রতিবেশী পঙ্কজ কুমার সানা অফিস সহকারী পদে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ৩ দফায় ৯ লক্ষ ২২ হাজার টাকা গ্রহন করে। নিয়োগ প্রত্যাশী সনৎ জানান, প্রতিবেশী সুব্রত সরকারের কাছে জমি বিক্রি করার কথা বলে বড় অংকের এ টাকা প্রধান শিক্ষকের কাছে তুলে দেওয়া হয়।

কিন্তু স্থানীয় বিরোধ ও আইনী জটিলতার কারনে এ পদের নিয়োগ ঝুলে গেলে বেকায়দায় পড়েন প্রধান শিক্ষক। দীর্ঘদিন অফিস সহকারী পদে নিয়োগ না হওয়ার উভযের মধ্য সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

স্থানীয় পর্যায়ে টাকা আদায় করতে ব্যর্থ হলে সনৎ এর পরিবার অনুপায় হয়ে সম্পতি পাইকগাছা -কয়রার সংসদ সদস্য মো: আক্তারুজ্জামান বাবুর হস্তক্ষেপ কামনা করে বিচার দাবী করেন। শেষ পর্যন্ত এমপি’র হস্তক্ষেপে প্রধান শিক্ষক পঙ্কজ কুমার সানা অফিস সহকারী পদে সার্কুলার দিয়ে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন।

১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরৎ এর কথা বলে প্রধান শিক্ষক পৃথক-পৃথক দুটি চেকের মাধ্যমে গত ১১ আগস্ট সনৎ এর হাতে সাড়ে ৯ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন।

এ সম্পর্কে বেকার যুবক সনৎ এর বৃদ্ধ মা আনারতি অভিযোগ করেন ছেলে জমির বিক্রি সহ ধার-দেনা করে এত টাকা প্রধান শিক্ষকের কাছে তুলে দেন। তাড়াতাড়ি টাকা ফেরৎ দিবেন কথা বলে প্রধান শিক্ষক পঙ্কজ কুমার সানা বলেন, আমার ছেলে অসুস্থ্য হলে চিকিৎসার জন্য খুলনায় নিয়েছিলাম এ কারনে টাকা দিতে বিলম্ব হয়েছে।